গুগলের মূল কোম্পানি আলফাবেট নতুন প্রজন্মের কোয়ান্টাম চিপ ‘উইলো’ উন্মোচনের পর এর শেয়ার প্রায় ৫ শতাংশ বেড়েছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে যুগান্তকারী অগ্রগতির কারণে প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ জগতে এই উদ্ভাবন নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর সোমবার গুগল কোয়ান্টাম এআই তাদের ‘উইলো’ চিপের ঘোষণা দেয়। এই চিপটি ৫ মিনিটে এমন একটি গণনা সম্পন্ন করেছে, যা করতে পৃথিবীর দ্রুততম সুপারকম্পিউটারের সময় লাগবে মহাবিশ্বের ইতিহাসের থেকেও বেশি।
এই চিপটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, ত্রুটি সংশোধন এবং সমাধান করেছে। সাধারণত, কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ‘কিউবিট’ সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে ত্রুটির পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। তবে এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, কিউবিট সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে ত্রুটির হারও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
গ্রেট হিল ক্যাপিটালের চেয়ারম্যান থমাস হেইস বলেছেন, উইলোর মতো উদ্ভাবন বিজ্ঞানের পাশাপাশি চিকিৎসা এবং অর্থনীতিতে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে পারে। এই চিপটি ত্রুটি হ্রাসে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম, যা ভবিষ্যতে বিভিন্ন শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার এবং উন্নয়নে সহায়ক হবে।
উইলো চিপের ঘোষণার পর আলফাবেটের শেয়ার ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এপ্রিলের পর থেকে কোম্পানিটির সেরা দিনের একটি। চলতি বছর আলফাবেটের শেয়ার মোট ২৫ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধারায় কোয়ান্টাম কম্পিউটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হতে পারে। গুগলের ‘উইলো’ চিপ গবেষণা, চিকিৎসা, এবং আর্থিক খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে। এটি বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্ম এবং প্রযুক্তি পেশাজীবীদের জন্য নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করবে।
উইলো চিপের সাহায্যে বিজ্ঞানের নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণ গবেষক এবং ডেভেলপাররা গুগলের ওপেন সোর্স সফটওয়্যার এবং শিক্ষামূলক কোর্সের মাধ্যমে এই অগ্রগতির অংশ হতে পারে। কোয়ান্টাম প্রযুক্তির সাহায্যে নতুন ঔষধ, শক্তি উৎপাদন এবং আর্থিক সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
গুগলের এই উদ্ভাবন শুধু বিশ্বের নয়, বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতেও নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারে। কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের এই যুগান্তকারী পদক্ষেপে অংশ নিতে এবং এর সুফল পেতে আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।