তাই তো! কিভাবে!! ইন্টারনেট হচ্ছে পৃথিবীজুড়ে ব্যাপ্ত একটি সিস্টেম। আর এটি হচ্ছে তথ্য। ইনফরমেশনের আবার ওজন কিসের!
ই-বুক রিডার কিন্ডল দিয়ে ব্যাখ্যা শুরু করি। কিন্ডলে যখন বই লোড করা হয় তখন কি এর ওজন বাড়ে? হ্যাঁ! বাড়ে!!!
পেনড্রাইভে যেভাবে ইনফরমেশন জমা থাকে, একই প্রক্রিয়ায় কিন্ডলেও বাইনারিতে ইনফরমেশন হিসেবে ই-বুক লোডেড থাকে।
এখন বাইনারির অস্তিত্ব থাকে কারণ ইলেকট্রন ফ্লোটিং গেইট ট্রানজিস্টরকে চার্জ করে।
আমরা জানি, ইলেকট্রনের ওজন আছে।
বার্কলের একজন অধ্যাপক জন ডি. কুবিয়াটোয়িকয দেখিয়েছেন, কিন্ডল যদি ই-বুক দিয়ে পুরোপুরি লোড করে ফেলা হয় তাহলে এর ওজন ০.০০০০০০০০০০০০০০০০০১ গ্রাম বেড়ে যায়।
এটি গড়ে উঠেছে অসংখ্য সার্ভারের নেটওয়ার্ক দিয়ে। ৭৫ মিলিয়ন থেকে ১০০ মিলিয়ন সার্ভার ইন্টারনেটকে চালু রাখছে। এগুলোর জন্য একত্রে প্রয়োজন ৪০ বিলিয়ন ওয়াট ইলেকট্রিসিটি। আর আমরা জানি যে, এক অ্যাম্পিয়ার সমান প্রতিসেকেন্ডে ১০০০০০০০০০০০০০০০০০০টি ইলেকট্রন।
এখন, যেহেতু আমরা ইলেকট্রনের ভর জানি, তাই আমরা এসব ফ্যাক্টর মাথায় রেখে পুরো ইন্টারনেটের ওজন পাই ৫০ গ্রাম গতিশীল ইলেকট্রনের সমান।
তবে এই ৫০ গ্রামের হিসেবটি করা হয়েছে শুধুমাত্র সার্ভারকে আমলে রেখে। আপনি যদি বিশ্বের ঘরে ঘরে ছড়িয়ে থাকা পারসোনাল কমপিউটারগুলোকেও এই হিসেবের অন্তর্ভুক্ত করেন তাহলে এই ওজন তিনগুন হবে, অর্থাৎ ১৫০ গ্রাম।
একটি ইমেইল স্টোর করতে লাগে ৮ বিলিয়ন ইলেকট্রন। এতসব ইমেইল, অ্যাটাচড ভিডিও, গান, ইমেজ ইত্যাদিসহ ওজন কত দাঁড়াবে তাহলে?
তার আগে দেখা যাক কত বড় এই ইন্টারনেট।
২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী নেটে ৫ মিলিয়ন টেরাবাইট ইনফরমেশন রয়েছে, যা পাঁচ বছর পর পর দ্বিগুণ হচ্ছে। গুগলে এর মাত্র ০.০০৪% ডেটার ইনডেক্স করতে পেরেছে।
এখন এক বাইট তথ্য তৈরি হতে কত ইলেকট্রন প্রয়োজন হয় আর ইলেকট্রনের ভর কত তা দিয়ে হিসেব করে ইন্টারনেটের ওজন পাওয়া যায় এক আউন্সের ০.২ মিলিয়ন ভাগের এক ভাগ!!!