গোপনে অনেক কিছুই ঘটছে, সাংবাদিকরা লিখছেন না: মির্জা আব্বাস

সাংবাদিকরা শুধু বিএনপি সম্পর্কে লিখছেন উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, একটি বিশেষ দল সম্পর্কে কোনো সাংবাদিক, কোনো সংবাদপত্র কিছুই লিখছেন না। তবে বিএনপি সম্পর্কে যতটুকু পারেন ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বাড়িয়ে লিখছেন। পর্দার অন্তরালে অনেক কিছুই ঘটছে, আপনারা কিছুই লিখছেন না।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় গুলশানের একটি হোটেলে ‘গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক, ফটো সাংবাদিক ও ভিডিও সাংবাদিকদের সম্মানে’ আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মির্জা আব্বাস।

‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামে বিএনপির একটি সেল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান প্রমুখ।

সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের মধ্যে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরী এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকেরা অংশ নেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, কোন ব্যবসায়ীর হেলিকপ্টারে কে বেড়াতে যায়, কোন ব্যবসায়ী কত টাকা দেয়, কোন ব্যবসায়ী আজকে আমাদের অনেক রাজনৈতিক দলকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে? যাদের নামে হত্যা মামলা থাকার পরও একটি দুটি নয়, এই ঘটনার পরও অনেক ঘটনা রয়ে গেছে। জুলাই-আগস্ট ছাড়াও হত্যার ঘটনায় অনেক ব্যবসায়ী জড়িত আছে, আপনারা তাদের বিরুদ্ধে কিছুই লিখছেন না। এতে দেশের ক্ষতি হচ্ছে, জাতির ক্ষতি হচ্ছে।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের সম্মেলন নিয়েও ইফতার অনুষ্ঠানে কথা বলেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সম্মেলনে কারা কারা ছিল, কারা কারা গ্রেপ্তার হয়েছে, কারা কারা গ্রেপ্তার হয়নি, কেন হয়নি, এটা আপনাদের তুলে ধরা দরকার। কারণ, এই সমস্ত লোক যারা অবৈধভাবে গত ১৭ বছরে টাকা কামিয়েছে, আগামী ১৭ বছর এই টাকা খরচ করবে বাংলাদেশ ধ্বংস করার পেছনে। সুতরাং আপনারা দয়া করে ওই সমস্ত ব্যক্তিদের তুলে ধরেন। সাবধান করেন।

ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন এই সরকার আজকে পর্যন্ত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট যে নামেই বলেন না কেন, সেই আইন কেন বাতিল করলো না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ব্যতিরেকে কোনো দিন গণতন্ত্র হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন, তাদের পাশে থাকতে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামে একটি সেল ২০২৪ সালের মার্চ মাসে গঠন করা হয়েছিল। ওই বছরের ২২ মার্চ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রাজধানীর নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সেল করা হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top