পাকিস্তানে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন জিম্মি করেছে বন্দুকধারীরা। এতে কয়েকশ মানুষ জিম্মি হয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে বেশকিছু লোককে মুক্তি দিয়েছে গোষ্ঠীটি।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেনটি অপহরণের পর যাত্রীদের জিম্মি করেছে বন্দুকধারীরা। এমনকি সেনাবাহিনী অভিযান চালালে সবাইকে হত্যার হুমকি দিয়েছে তারা। তাদের গুলিতে ট্রেনের চালক আহত হয়েছেন। রেললাইনে বিস্ফোরক রেখে ট্রেনটি জিম্মি করে বন্দুকধারীরা।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বালুচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জিম্মিদের মধ্যে পাকিস্তানি সেনা, পুলিশ, অ্যান্টি টেররিজম ফোর্স ও ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই ছুটিতে পাঞ্জাব প্রদেশে যাচ্ছিলেন।
বিএলএর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বন্দুকধারীরা মহিলা, শিশু, বালোচ যাত্রীদের ছেড়ে দিচ্ছে। কেবল বিভিন্ন এজেন্সিতে কর্মরতদের আটকে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে বেলুস্তান সরকার এটিকে জরুরিকালীন পরিস্থিতি হিসেবে উল্লেখ করছে। সব প্রতিষ্ঠানকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার করার জন্য বলা হয়েছে।
এর আগে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা ট্রেনটিকে মাচের পাহাড়ি এলাকায় থামাতে বাধ্য করে। এরপর সেখানে যাত্রীদের জিম্মি করা হয়। পাকিস্তানের রেলওয়ে পুলিশ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানের রেলওয়ে বিভাগের কর্মকর্তা মহম্মদ কাশিফ জানিয়েছেন, নয়টি কোচবিশিষ্ট ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গিদের পণবন্দি হয়েছেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ছয় সেনাকর্মী বালুচ বিদ্রোহীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ বলেন, পেহরো কুনরি এবং গাদালারের মাঝামাঝি যাত্রীবাহী ট্রেনটি অপহরণ করা হয়। এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা ট্রেনের দখল নেয়।
শাহিদ জানান, পাহাড়ঘেরা রেলপথের আট নম্বর টানেলের ভিতরে অপহৃত ট্রেনটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে বালুচিস্তান প্রাদেশিক সরকার।