যে কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং-প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষে এখন থেকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না শিক্ষকরা। তারা নিতে পারবেন না কোচিং ক্লাসও। এ নিয়ে এক নির্দেশে জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

নির্দেশনায় বলা হয়, ক্লাস ছুটির পর বা বন্ধের দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষ কোচিং ক্লাস বা প্রাইভেট পড়ানোসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

স্কুলের কক্ষে কোনো শিক্ষক কোচিং ক্লাস নিলে বা প্রাইভেট পড়ালে ‘এর দায় তাকেই নিতে হবে’ বলে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর এমন নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে অধিদপ্তরের পলিসি ও অপারেশন বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. রাইহুল ইসলাম বলেন, ‘ক্লাস ছুটির পর বা বন্ধের দিনে শ্রেণিকক্ষে কোচিং ক্লাস বা প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। কোনোভাবেই স্কুলের রুম প্রাইভেট পড়ানো বা কোচিং ক্লাস নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা যাবে না। বিষয়টি জানিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো শিক্ষক বা অন্য কেউ স্কুলের রুমে প্রাইভেট পড়ালে বা কোচিং ক্লাস নিলে বা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করলে তিনি এর জন্য দায়ী থাকবেন।’

এর আগে গতকাল সোমবার অধিদপ্তর থেকে ওই আদেশটি সব বিভাগীয় উপপরিচালক, পিটিআিই সুপারিনটেনডেন্ট, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা বা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়ে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ছুটির পর বা বন্ধের দিনে শ্রেণিকক্ষ প্রাইভেট পড়ানো বা কোচিংসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার ‘অনভিপ্রেত’ মন্তব্য করে অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ওই আদেশে বলা হয়েছে, ‘কোনোভাবেই বিদ্যালয়ের কক্ষ প্রাইভেট পড়ানো, কোচিংসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়ী থাকবেন।’

এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে জানিয়ে তা অবশ্যই মেনে চলার ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।

গত শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে মাদারগঞ্জ কচুবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিককে গ্রেপ্তার হয়েছেন। রোববার সকালে আদালতে তোলার সময় অভিযুক্ত শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, স্কুলটি বন্ধ থাকলেও সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক স্কুলেই বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top