পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক ঘোষণা করেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে দেশের সামরিক শক্তি বাড়াতে সব প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
শুক্রবার পার্লামেন্টে তিনি বলেন, আমরা এমন একটি ব্যবস্থা চালু করতে চাই, যাতে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষিত থাকে এবং আমাদের রিজার্ভ বাহিনী যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকে।
তিনি আরও জানান, পোল্যান্ড তার সামরিক শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে এবং ‘সবচেয়ে আধুনিক ও উন্নত অস্ত্র, যার মধ্যে পারমাণবিক ও অন্যান্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র রয়েছে, তা অর্জন করবে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, সেনাবাহিনীর সংখ্যা ২-৫ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। নারীদেরও সামরিক প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে। যদিও তিনি স্বীকার করেন, যুদ্ধ সাধারণত পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত হয়।
এই ঘোষণার দিনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, রাশিয়া ইউক্রেনে শান্তি চুক্তি না করা পর্যন্ত দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন তিনি।
২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর পোল্যান্ড ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান সমর্থক। তবে সম্প্রতি ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সহায়তা কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং এমনকি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করেছেন। এতে পোল্যান্ডের সরকার উদ্বিগ্ন।
যুদ্ধের পর থেকে ৭০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় শরণার্থী পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে, যার মধ্যে এখনো প্রায় ১০ লাখ সেখানে অবস্থান করছে।