নারী কাবাডিতে বাংলাদেশের ‘প্রথম’ পদক

বিশ্ব নারী দিবস আগামীকাল। ইরানে এশিয়ান নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতে এবারের নারী দিবস বিশেষ করে তুলল বাংলাদেশ জাতীয় নারী কাবাডি দল।

ইরান থেকে দুপুরে বার্তা আসে—এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তিতে উদযাপন করবেন, স্বস্তির নিঃশ্বাস নেবেন কাবাডি-সংশ্লিষ্টরা। তা না করে বিতর্ক নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো! বিতর্ক ছিল—এশিয়ান নারী কাবাডিতে এটা প্রথম না দ্বিতীয় ব্রোঞ্জ? সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় নিশ্চিত হওয়া গেছে, আসরে এটিই বাংলাদেশের প্রথম ব্রোঞ্জ।

ইরানের রাজধানী তেহরানের অদূরের পারদিস শহরে শুক্রবার (০৭ মার্চ) শেষ গ্রুপ ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ৪২-২৭ পয়েন্টে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতার নিয়মানুযায়ী দুই সেমিফাইনালিস্ট দলকে ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়। সে হিসেবে বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত হয়েছে। ২০০৫ সালে প্রথম আসরে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলেছিল। কিন্তু ওই সময় সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দুই দলকে ব্রোঞ্জ পদক দেওয়ার বিধান ছিল না। এটা নিয়েই বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

এ প্রসঙ্গে বর্তমান নারী দলের কোচ শাহনাজ পারভীন মালেকা ইরান থেকে কে বলেন, ‘২০০৫ সালের দলে আমিও ছিলাম। সে আসরে বাংলাদেশ কিন্তু কোনো পদক পায়নি।’

এ প্রসঙ্গে সে দলের কোচ আব্দুল জলিল কে বলেন, ‘২০০৫ সালের আসরে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলেছে ঠিকই, কিন্তু কোনো পদক জেতেনি। কিন্তু আমরা অনলাইনে দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশকে ব্রোঞ্জ জয়ী হিসেবে দেখানো হচ্ছে। সে হিসেবে বলা হয়, বাংলাদেশ ২০০৫ সালের ব্রোঞ্জ জয়ী।’

ভারতের কাছে বড় হারে শুরুর পর মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে প্রথম ব্রোঞ্জ জয়ের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ দলের কোচ শাহনাজ পারভীন মালেকা বলছিলেন, ‘নানা সীমাবদ্ধতার মাঝে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। মেয়েরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। কাবাডি ফেডারেশন থেকে সাফল্যের জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করা হয়েছে। তার সুফল হিসেবে এসেছে এ পদক।’

২০০৫ সালে শুরু হওয়া এশিয়ান নারী চ্যাম্পিয়নশিপে এটি হচ্ছে ষষ্ঠ আসর। মাঝে ২০১৬ সালের আসরে অংশগ্রহণ করেনি বাংলাদেশ। পঞ্চম আসরে এসে প্রথম পদক পেল লাল-সবুজরা। গত নভেম্বরে গঠিত অ্যাডহক কমিটির অধীনে এটি ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক।

সেমিফাইনালে ইরানের কাছে অবশ্য হেরে গেছে বাংলাদেশ ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ৪১-১৮। আরেক সেমিতে ভারত ৫৮-১৮ পয়েন্টে নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top