গোপনে খামেনিকে চিঠি দিলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য আলোচনায় বসতে ইরানের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি আশা করছেন, ইরান এ প্রস্তাব গ্রহণ করে আলোচনা শুরু করবে, যা উভয় দেশের জন্যই উপকারি হবে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের একটি সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বিষয়টি জানান। খবর রয়টার্স।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আমি তাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছি, যেখানে আমি আশা প্রকাশ করেছি যে তারা আলোচনা করবে, কারণ এটি ইরানের জন্য ভালো হবে।

ট্রাম্প আরও বলেন, আমার মনে হয়, তারা আলোচনায় বসতে চাইবে। আর তা না হলে আমাদের বিকল্প কিছু করতে হবে, কারণ আপনি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবেন না।

অপরদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের বক্তব্যের পর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কারণ, ইরানে বর্তমানে সাপ্তাহিক ছুটি চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, চিঠিটি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে পাঠানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

ইরানকে সামলানোর দুটি উপায় রয়েছে—একটি হচ্ছে সামরিকভাবে শক্তি প্রয়োগ করা এবং অন্যটি হলো একটি চুক্তি করা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমি চুক্তি করার বিষয়টিকে বেশি পছন্দ করি, কারণ আমি ইরানের ক্ষতি করতে চাই না। তারা ভালো মানুষ।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করার পর থেকে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি একাধিক বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। তিনি রাশিয়ার প্রতি আরও আপসমূলক মনোভাব গ্রহণ করেছেন, যা পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এছাড়া, তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন।

এদিকে একটি সূত্র জানায়, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে। ক্রেমলিন তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা প্রশমনে শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহায়তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ ইরানের রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালীর সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top