পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর দখলের দিকে এগোচ্ছে ভারত

কাশ্মীরের পুরো ভূখণ্ড দখলের পরিকল্পনা সফলের পথে ভারত অনেক দূর এগিয়েছে। তারা ইতিমধ্যে পরিকল্পনার তিনটি ধাপ অতিক্রম করেছে। এবার পরবর্তী ধাপে নজর দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এ ধাপ সফল হলে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের দখলও যাবে ভারতের হাতে।

বুধবার ভারতের পররাষ্ট্রন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সেই পরিকল্পনার একটি ধারণা দেন। লন্ডনের চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্কে ‘বিশ্বে ভারতের উত্থান এবং ভূমিকা’ শীর্ষক একটি অধিবেশনে জয়শঙ্করের দেওয়া বক্তব্যে কাশ্মীর নিয়ে ওই ইঙ্গিত পাওয়া যায়। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমস।

অধিবেশনে এস জয়শঙ্কর কাশ্মীর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলেন। যার মধ্যে ৩৭০ ধারা অপসারণ, অর্থনৈতিক পদক্ষেপ এবং উচ্চ ভোটার উপস্থিতিসহ নির্বাচন ইস্যু অন্তর্ভুক্ত ছিল।

কাশ্মীর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জয়শঙ্কর বলেন, কাশ্মীরে আমরা বেশিরভাগ সমস্যার সমাধানে ভালো কাজ করেছি। আমার মনে হয় ৩৭০ ধারা অপসারণ ছিল একটি পদক্ষেপ। তারপর কাশ্মীরে প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধার করা ছিল দ্বিতীয় ধাপ। খুব বেশি ভোটার উপস্থিতির সঙ্গে সম্পন্ন নির্বাচন ছিল তৃতীয় ধাপ। আমার মনে হয় আমরা যে অংশের জন্য অপেক্ষা করছি তা হলো কাশ্মীরের চুরি করা অংশ ফিরিয়ে আনা। যা অবৈধ পাকিস্তানি দখলদারত্বের অধীনে রয়েছে। যখন এটি সম্পন্ন হবে, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি, কাশ্মীর ইস্যু সমাধান হয়ে যাবে।

এদিকে ওই অধিবেশন শেষে ফেরার পথে অনাকাঙিক্ষত ঘটনার সম্মুখীন হন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তার সামনেই ভারতের পতাকা ছিঁড়লেন এক খালিস্তানপন্থি।

বুধবার সন্ধ্যায় নিরাপত্তা বেষ্টনী লঙ্ঘন করে ঘটনাটি ঘটান ওই ভারতীয়। জয়শঙ্কর লন্ডনের চ্যাথাম হাউস থেকে একটি পূর্বনির্ধারিত আলোচনা শেষে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি গাড়িতে উঠার সময় ওই ব্যক্তি ভারতের পতাকা নিয়ে দৌড়ে আসেন। এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা ওই ব্যক্তির মনোভাব নিয়ে দ্বিধান্তিত হয়ে পড়েন। এ সুযোগে তিনি নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে গাড়ির সামনে এসে ভারতের পতাকা মাঝ বরাবর ছিঁড়ে ফেলেন। তৎক্ষণাক পুলিশ অফিসাররা তাকে মন্ত্রীর গাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে নেন।

ভিডিও ভাইরালের পর বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এস জয়শঙ্করের যুক্তরাজ্য সফরের সময় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে। তাতে পতাকা ছেঁড়া ব্যক্তিকে ‘চরমপন্থি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top