বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে কিচেন কেবিনেট (সরকারের খুব ঘনিষ্ঠ) আছে। তাদের কারণে ড. ইউনূস সাহেব একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তিনি তো প্রধান উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রীর সমমর্যাদা। তিনি তো উন্নয়নের জন্য কিছু সিদ্ধান্ত একাই নিতে পারেন, তবে কিছু উপদেষ্টা সেটি হতে দিচ্ছে না।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। একযোগে দেশের সকল নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে কর্মসূচিটি পালন করছে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ।
রিজভী বলেন, যারা সমাজে আলো ছড়ায়, মানুষকে আলোকিত করে তাদেরকে ধরনা দিতে হচ্ছে সচিবালয়ে। অথচ যারা বাজারে সিন্ডিকেট করছে, তারা কিন্তু গ্রেপ্তার হন না। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভ্রূক্ষেপ দেখি না। পেটের ক্ষুধা থেকে নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষকরা যে দাবি তুলেছেন, তাতে কোনো কর্ণপাত করছে না সরকার।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এ সরকার তো আবু সাঈদে রক্তের সরকার, মুগ্ধের রক্তের সরকার। যারা সমাজে আলো ছড়ায়, তারা খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য রাস্তায় অবস্থান করছে অথচ সরকাবের পক্ষ থেকে দাবি দাওয়া পূরণে কোন আশ্বাস নেই। তার মানে সরকারে কিছু গণবিরোধী আছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখানে অনেক শিক্ষক আছেন যারা ২৭ বছর ধরে ছাত্র তৈরি করেছেন, যারা সমাজের অনেক দায়িত্ব পালন করছেন। এরা কি দেশের নাগরিক না? তাহলে তাদের থেকে কেনো মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন?
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো শিক্ষক বান্ধব, তিনি শিক্ষকদের নিয়েই আন্দোলন করেছেন। শিক্ষকদের অনাহারে রেখে, তার সন্তানদের অনাহারে রেখে আপনার কি আনন্দ পাবেন? তাদের দিকে প্রধান উপদেষ্টা দৃষ্টি দিতে দিচ্ছেন না কেনো?
তিনি বলেন, ড. আমিনুল ইসলাম একজন মেধাবী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। তার নাম শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। আবার বিকেলে গণমাধ্যমে দেখলাম তার জায়গায় আরেকজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ড. আমিনুল ইসলামের মতো একজন স্বনামধন্য ও খ্যাতিমান শিক্ষকের সাথে এমন আচরণ কেন?