সৌদিতে হতে পারে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র, নেতানিয়াহুর মন্তব্য প্রত্যাখ্যান সৌদির

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি মন্তব্য করেন, ‘সৌদি আরবের অনেক জায়গা আছে। তারা সে দেশের মাটিতেই একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে পারে।’ নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের পর তার প্রতিবাদ জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটি বলছে, নেতানিয়াহু সম্প্রতি যে মন্তব্য করেছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছে রিয়াদ সরকার।

রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত করার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব।

গেল বৃহস্পতিবার চ্যানেল ফোরটিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র’ বলতে গিয়ে ভুল করে ‘সৌদি রাষ্ট্র’ বলে ফেলেন, পরে তিনি নিজের কথা সংশোধন করেন। কিন্তু নেতানিয়াহু তা নিয়ে কৌতুক করে বলেন, ‘সৌদি আরব নিজ দেশের মাটিতেই একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে পারে, তাদের অনেক জায়গা আছে।’

নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের পর পরই সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর নাম উল্লেখ করা হলেও সৌদি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সরাসরি মন্তব্যের উল্লেখ করা হয়নি। মিসর ও জর্ডান নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে। ওই ধারণাকে ‘সৌদি আরবের সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন’ বলে বর্ণনা করেছে কায়রো।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় ফিলিস্তিনি ভাইদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে অপরাধ করছে, এর মধ্যে জাতিগত নির্মূলের ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত, তা থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে দেওয়া এমন বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে সৌদি।

সেখানে বলা হয়, এই চরমপন্থি মানসিকতা ফিলিস্তিনের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের কাছে ফিলিস্তিনি ভূমির অর্থ এবং এই ভূমির সাথে তাদের মানসিক, ঐতিহাসিক এবং আইনি সংযোগ কী তা বোঝে না। তারা গাজা উপত্যকাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে। ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা এবং আহত করেছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সামান্যতম মানবিক অনুভূতি বা নৈতিক দায়িত্ব ছাড়াই তারা এই কাজ করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সৌদি স্পষ্ট বার্তা, ফিলিস্তিনি ভাইদের তাদের ভূমির উপর অধিকার আছে এবং তারা অনুপ্রবেশকারী বা অভিবাসী নয়। যাদের ইসরায়েল যখন ইচ্ছা তখনই বহিষ্কার করতে পারে। সৌদি আরব ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আছে এবং থাকবে। ফিলিস্তিন ইস্যুকে উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইসরায়েলে সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top