চাপের মুখে গাজা দখল থেকে পিছু হটছে ট্রাম্প প্রশাসন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা নিয়ে সমালোচনা তীব্র হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউস একদিনের মধ্যেই এ পরিকল্পনা থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে।

জাতিসংঘ, আরব বিশ্ব ও বিশ্ব নেতারা এ পরিকল্পনাকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে সতর্ক করেন। এর ফলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, ট্রাম্প শুধু গাজার অধিবাসীদের ‘অস্থায়ীভাবে’ সরানোর কথা বলেছিলেন। এটি জোরপূর্বক স্থানান্তর নয়। বরং পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তাব ছিল।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানান, গাজার পুনর্গঠনে কোনো অর্থায়ন করবে না ওয়াশিংটন। সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাও নেই। ফ্রান্স ও মিশরের প্রেসিডেন্টরা এই পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন। একইসঙ্গে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি বড় বাধা হিসেবে অভিহিত করেছেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান নিশ্চিত করতে হবে। এটি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে শান্তিপূর্ণভাবে পাশাপাশি বসবাস করার সুযোগ দেবে। তিনি আরও বলেন, গাজার পুনঃনির্মাণে বিশ্বের সব দেশের সাহায্য প্রয়োজন।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দূত রিয়াদ মনসুর গাজার গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, গাজা আমাদের ভূমি এবং আমরা এটি ছেড়ে যাচ্ছি না। আমরা গাজাকে পুনঃনির্মাণ করতে চাই।

জাতিসংঘ দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করে আসছে।

এদিকে, হামাস ট্রাম্পের এ পরিকল্পনাকে ‘বর্ণবাদী’ ও ‘আগ্রাসী’ বলে সমালোচনা করেছে। তথ্য: এএফপি, রয়টার্স ও সিএনএন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top