আগামী দুই বছরে শরণার্থীর সংখ্যা ভয়াবহভাবে বাড়বে 

চলমান সংঘাত ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার কারণে ২০২৫-২০২৬ সালে বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৬৭ লাখ বৃদ্ধি পেতে পারে। সম্প্রতি ডেনিশ রিফিউজি কাউন্সিলের (ডিআরসি) গ্লোবাল ডিসপ্লেসমেন্ট ফোরকাস্ট রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

ডিআরসি মহাসচিব শার্লট স্লেন্তে বলেছেন, আমরা যুদ্ধ ও দায়মুক্তির যুগে বাস করছি। বেসামরিক নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি মূল্য দিচ্ছে।

ডিআরসি জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ১২ কোটি ২৬ লাখ। সংস্থাটি তাদের পূর্বাভাসে ২০২৫ সালে ৪২ লাখ এবং ২০২৬ সালে আরও ২৫ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। 

এই বাস্তুচ্যুতির প্রধান কারণ হিসেবে সুদান ও মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধকে উল্লেখ করা হয়েছে। সুদানে চলমান মানবিক সংকটের ফলে এরইমধ্যে ১ কোটি ২৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা নতুন বাস্তুচ্যুতির প্রায় এক তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী। মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের কারণে ৩৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ সেখানে আরও ১৪ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়াও, আফগানিস্তান, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ভেনিজুয়েলায় সশস্ত্র সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও আর্থ-সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ডিআরসি জানিয়েছে, ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ ৬৭ লাখ লোকের বাস্তুচ্যুত হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top