যেভাবে আর্জেন্টিনা মেসিকে স্পেনের হয়ে খেলা থেকে রুখে দেয়

লিওনেল মেসি আজ আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি, কিন্তু একসময় তিনি হয়তো স্পেনের হয়ে খেলতেন! মেসির সাবেক কোচ হোসে নেস্টর পেকারম্যান সম্প্রতি জানিয়েছেন, কীভাবে আর্জেন্টিনা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে মেসিকে নিজেদের দলে ভেড়ায়।

গল্পটা শুরু ২০০৩ সালে। সেসময় ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে যায়। ম্যাচ শেষে স্পেনের এক কোচ আর্জেন্টিনার কোচ হুগো টোকালিকে বলেন,

‘যদি বার্সেলোনার সেই ছেলেটি (মেসি) খেলত, তাহলে তোমরাই চ্যাম্পিয়ন হতে।’

এই কথা আর্জেন্টাইন কোচদের মনে গেঁথে যায়। কিছুদিন পর, পেকারম্যান স্পেন সফরে গিয়ে লেগানেস বনাম আলকোরকন ম্যাচে মেসিকে সরাসরি দেখেন এবং নিশ্চিত হন—স্পেন যে কোনো সময় মেসিকে জাতীয় দলে ডাকতে পারে।

পেকারম্যান দ্রুত বুঝতে পারেন, ফিফার নিয়ম অনুযায়ী মেসিকে আর্জেন্টিনা না খেলালে তিনি স্পেনের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে যাবেন। তাই ২০০৪ সালের ২৯ জুন আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে এক প্রীতি ম্যাচে মেসিকে নামানো হয়।

মাত্র ৫০০ দর্শকের সামনে সেই ম্যাচে বদলি নেমে মেসি গোলও করেন। এভাবেই স্পেনের হয়ে খেলার সম্ভাবনা চিরতরে শেষ হয়ে যায় এবং আর্জেন্টিনার ইতিহাসের অংশ হয়ে যান মেসি।

এক বছরেরও কম সময় পর, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট হাঙ্গেরির বিপক্ষে মেসির আর্জেন্টিনা সিনিয়র দলের অভিষেক ঘটে। কিন্তু মাত্র ৪০ সেকেন্ডের মাথায় রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দেন!

পেকারম্যান তখন রেফারিকে বলেন, ‘তুমি ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালে, কারণ তুমি সামনের এক দশক সময়ের পৃথিবী সেরা খেলোয়াড়কে বের করে দিলে’

আজ, সেই ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়েছে। মেসি শুধু এক দশক নয়, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা তারকা হিসেবে রাজত্ব করছেন!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top