মেসির উত্তরসূরি? লামিন ইয়ামালের জাদুতে মুগ্ধ ফুটবল বিশ্ব!

স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার ফুটবলার লামিন ইয়ামাল এখনও কিশোর। ব্রেস পরেন, এই জুনে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল পাবেন। কিন্তু ফুটবল মাঠে? ফুটবলের ময়দানে তিনি যেন এক পরিপূর্ণ সুপারস্টার!

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ব্রাগা বনাম বার্সেলোনা ম্যাচে ইয়ামাল আবারও দেখালেন কেন তিনি ইতোমধ্যেই বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন হয়ে উঠেছেন।

বার্সেলোনার ৩-১ জয়ের (মোট ৪-১) ম্যাচে প্রথমে অসাধারণ ড্রিবলিংয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে রাফিনিয়ার গোলের সুযোগ তৈরি করেন। এরপর চোখ ধাঁধানো এক কার্লিং শটে বল জড়ান প্রতিপক্ষের জালে—এ যেন আরও একটি রত্ন যোগ হলো তার ঝুলিতে!

ইয়ামাল শুধু একদিনের তারকা নন, গত এক বছর ধরেই ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন। তিনি স্পেনকে ইউরো জিতিয়েছেন, লা লিগায় প্রতিপক্ষের রক্ষণের ত্রাস হয়ে উঠেছেন এবং জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে গত বছরখানেকের মধ্যে ৪৫টি গোল ও অ্যাসিস্টে অবদান রেখেছেন।

যখন তিনি প্রথম আলোচনায় আসেন, তখন তাকে বলা হয়েছিল ‘ভবিষ্যতের তারকা’। কিন্তু এখন? তিনি এখন বর্তমানের তারকা। তর্কসাপেক্ষে বর্তমান সময়ের সেরা তারকা তাকে বলা যেতে পারেই। তার বার্সেলোনা ও স্পেন সতীর্থ গাভি অবশ্য সেই তর্কে গেলেন না। তিনি বলেই ফেলেছেন, ‘তাকে মেসির সঙ্গে তুলনা করা ঠিক নয়, কারণ মেসি এক এবং অদ্বিতীয়… কিন্তু আমার মতে, এই মুহূর্তে লামিনই সেরা।’

একজন ১৭ বছর বয়সী খেলোয়াড়কে বিশ্বের সেরা বলা কঠিন, বিশেষ করে যখন রদ্রি (বর্তমান ব্যালন ডি’অর জয়ী), মোহামেদ সালাহ (তার ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে), কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এর মতো খেলোয়াড়রা আছেন। তবে ইয়ামাল ইতোমধ্যেই সেই তালিকায় ঢুকে পড়েছেন।

তিনি লা লিগায় সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট ও গোল তৈরির সুযোগ তৈরি করেছেন।
তার ড্রিবলিংয়ের পরিসংখ্যান ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের কাছাকাছি।
তার বল কন্ট্রোল ও স্কিল ডিফেন্ডারদের বিব্রত করে দিচ্ছে।
এছাড়া, তিনি শুধু নিজে ভালো খেলছেন না, সতীর্থদেরও ভালো খেলতে সাহায্য করছেন। তার কল্যাণে রাফিনিয়ার ফর্ম ফিরে এসেছে, লেভানডোভস্কি এখনও ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন, এবং বার্সেলোনা আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্যতম ফেভারিট হয়ে উঠেছে।

মেসির সঙ্গে ইয়ামালের তুলনা অবশ্য স্বাভাবিক। তার খেলা, দৃষ্টি, এবং ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করার ক্ষমতা—সবই কিংবদন্তির ছায়া বহন করে। তবে ফুটবল অনিশ্চয়তায় ভরা—ইনজুরি বা ফর্মের ওঠানামা বদলে দিতে পারে সবকিছু।

কিন্তু ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ তাকে বিশ্বসেরা বলা হবে—এই ধারণা কি অযৌক্তিক?

এখন মনে হচ্ছে না! লামিন ইয়ামাল ভবিষ্যৎ নন, তিনি বর্তমান!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top