ট্রাম্পের চাপের মুখে পিছু হটল কলাম্বিয়া

অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের জানান দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় এসেই অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় কলম্বিয়ায় দুটি মার্কিন বিমান পাঠানো হয়েছিল। তবে তা নামতে অনুমতি দেয়নি দেশটি। তবে শেষমেষ যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে পিছু হটেছে দেশটি।

সোমবার ( ২৭ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। দেশটির ওপর শুল্ক আরোপ আর ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য হুমকি দিয়েছেন তিনি। এরপর অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে তারা।

কলম্বিয়া জানিয়েছে, তারা ট্রাম্পের সব শর্ত মেনে নিতে রাজি হয়েছে। বেআইনিভাবে যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে তাদের ফেরত নেওয়া হবে। এজন্য মার্কিন সামরিক বিমান পাঠালেও তাতে কোনো আপত্তি জানাবে না তারা।

কলম্বিয়ার এমন ঘোষণার পর দেশটির ওপর জারি করা ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প জানান, কলাম্বিয়ার সব জিনিসের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা ৫০ শতাংশ করা হবে। এছাড়া দেশটির নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশের অনুমতি ও ভিসা দেওয়া হবে না।

তিনি জানান, কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশটি দুষ্কৃতকারীদের বেআইনিভাবে আমেরিকায় পাঠিয়েছে। তাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত না নিয়ে কলম্বিয়া আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করেছে।

এর আগে শুক্রবার গুয়াতেমালায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর তিনটি ফ্লাইট অবতরণ করে। প্রতিটি ফ্লাইটে প্রায় ৮০ জন করে অভিবাসী ছিল। মেক্সিকো নিয়েও একই ধরনের পরিকল্পনা ছিল ট্রাম্পের। এজন্য সেখানে একটি সি-১৭ পরিবহন বিমান অবতরণের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু মেক্সিকো তাতে সায় দেয়নি। শেষ পর্যন্ত মেক্সিকো নামতেই পারেনি মার্কিন সামরিক বিমান।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন রিমেইন ইন মেক্সিকো কর্মসূচি পুনরায় চালুর ঘোষণা দেয়। ওই কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে চাওয়া অ-মেক্সিকান আশ্রয়প্রার্থীদের মামলা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের মেক্সিকোতেই থাকতে বাধ্য করা হয়। এ নিয়ে বুধবারই কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায় মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শিনবাউম। অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলেনি মার্কিন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা দপ্তর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top