খামেনিকে কেন চিঠি লিখেন ট্রাম্প?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স বিজনেসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী।

কিন্তু একইসঙ্গে তিনি আবারও তার অতীতের দাবির পুনরাবৃত্তি করেন যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছে। ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো আয়াতুল্লাহ খামেনিকে চিঠি পাঠালেন।

তার প্রথম চিঠিটি ১৩ জুন ২০১৯ তারিখে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মাধ্যমে তেহরানে পৌঁছেছিল।

আয়াতুল্লাহ খামেনির চিঠির প্রতিক্রিয়া বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তিনি লিখেছিলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে কোনো বার্তা আদান-প্রদানের যোগ্য মনে করি না। আমার কাছে তার জন্য কোনও উত্তর নেই এবং আমি তাকে কোনও উত্তর দেব না।

সম্প্রতি ইরানকে আরেকটি চিঠি পাঠানোর বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি সম্পর্কে জাতিসংঘে ইরানের প্রতিনিধি জানিয়েছে, আমরা এখনও এমন কোনো চিঠি পাইনি।

তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে ইরান কোনো পারমাণবিক আলোচনায় বসবে না। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ যুক্তরাষ্ট্র তাদের সর্বোচ্চ চাপের নীতি ও হুমকি বজায় রাখবে, আমরা তাদের সঙ্গে কোনো সরাসরি আলোচনায় বসব না।’

জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের জ্বালানি তেল খাতসহ দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কৌশল নিয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top