সিরিয়ায় আসাদপন্থি একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনী এবং তাদের মিত্রদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গোষ্ঠীটির অন্তত ৩৪০ সদস্য নিহত হয়েছেন।
শনিবার (০৮ মার্চ) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
প্রদিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দিন ধরে আসাদপন্থি আলাওয়াইত গোষ্ঠীর সঙ্গে বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনী এবং তাদের মিত্রদের সংঘর্ষ হয়েছে। গেল বছরের ডিসেম্বরে ইসলামপন্থি নেতৃত্বাধীন বাহিনী হায়াত তাহরির আল শামের (এইচটিএস) আক্রমণের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন বাশার আল আসাদ। এরপর সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষের জন্য নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করা সবচেয়ে জটিল কাজগুলোর মধ্যে একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার পূর্ববর্তী উত্তেজনার পর মারাত্মক সংঘর্ষের ফলে নিরাপত্তা অভিযান শুরু হয়। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস শনিবার জানিয়েছে, সেই সময় থেকে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল এবং লাতাকিয়া পর্বতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং মিত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে ৩৪০ জন আলাওয়াইত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। অবজারভেটরি ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা নিরাপত্তা কর্মী বা সরকারপন্থি যোদ্ধাদের দ্বারা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় নিহত হয়েছে এবং এর সঙ্গে বাড়িঘর ও সম্পত্তি লুটপাট করা হয়েছে।
অবজারভেটরির তথ্য অনুযায়ী, বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর ফলে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৫৩ জনে পৌঁছেছে, যার মধ্যে নতুন সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৯৩ জন সদস্য এবং ১২০ জন প্রো-আসাদ যোদ্ধা রয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী একটি আলাওয়াইত গ্রামে একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা শনিবার জানিয়েছে, লাতাকিয়া শহরের জাতীয় হাসপাতালেও সাবেক সরকারি বাহিনীর কিছু অনুসারী হামলা চালিয়েছিল, তবে নিরাপত্তা বাহিনী তা প্রতিহত করেছে।
শুক্রবারে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান আত্মসমার্পণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তোমরা তোমাদের অস্ত্র ফেলো এবং আত্মসমার্পণ করো, না হলে পরবর্তীতে এটি খুব দেরি হবে।
সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলটি এখন কঠিন সময় পার করছে, যেখানে আসাদ পরিবারের অন্ধকার শাসনের কারণে আলাওইতদের প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকারকে দায়ী করেছে।