নতুন মোড়: ভারতকে কাছে টানছে চীন  

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছেন। বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ‘ভারত ও চীন বিশ্বের দুটি বৃহৎ উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জাতীয় পুনর্জাগরণ। আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে কাজ না করে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমর্থনের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারি।’

ওয়াং ই বলেন, ‘আমরা প্রাচীন দুই সভ্যতা, আমাদের মধ্যে পর্যাপ্ত প্রজ্ঞা ও সক্ষমতা রয়েছে যাতে আমরা সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারি এবং ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত সমাধানের পথ বের করতে পারি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কখনই সীমান্ত সমস্যা দিয়ে সংজ্ঞায়িত করা উচিত নয়, কিংবা কিছু নির্দিষ্ট মতপার্থক্যকে সামগ্রিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে দেওয়া উচিত নয়।’

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট, চীন ভারতকে তার কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখতে চায়, বিশেষ করে যখন ট্রাম্প প্রশাসন চীনের বিরুদ্ধে একের পর এক বাণিজ্য বাধা সৃষ্টি করছে।

তবে, চীনের এই আহ্বানের পর ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্ত উত্তেজনা ও অতীতের দ্বন্দ্ব ভারতের জন্য একটি বড় বাধা হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, ভারত চীনের এই বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তার জবাবে কী সিদ্ধান্ত নেয়।

উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল এবং ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখ অঞ্চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা ও চারজন চীনা সেনার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা বিরাজমান রয়েছে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top