বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) জন্য এটি নিঃসন্দেহে এক বড় সুখবর। দীর্ঘ ছয় বছর পর ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেল দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে ফিফার অনুদান আগের মতোই নিয়মিত কিস্তিতে পাবে বাফুফে, পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্যও আবেদন করতে পারবে।
বাফুফের জন্য এই আর্থিক নিষেধাজ্ঞার অধ্যায় শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে, যখন আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বাফুফেকে বিশেষ পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখে। ফলে ফিফার অনুদান পেলেও তা নানা শর্ত ও দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর অনুমোদিত হতো, যা কার্যত ফুটবলের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
বিশেষ করে ২০২৩ সালে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিষয়টি আরও স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। এরপর নতুন সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার দায়িত্ব নিয়ে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল নেতৃত্বে আসার পর ফিফার আস্থা পুনরুদ্ধারে নানা উদ্যোগ নেয় বাফুফে।
এই ধারাবাহিকতায় গত ফেব্রুয়ারিতে ফিফার একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে বাফুফের অর্থায়ন সংক্রান্ত নিরীক্ষার জন্য। পরিদর্শনের পর ফিফা সন্তুষ্ট হলে আজ (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে জানায়, বাফুফের ওপর থেকে বিশেষ পর্যবেক্ষণ তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে সংস্থাটি এখন আবার আগের নিয়মেই ফিফার অনুদান পাবে এবং উন্নয়ন প্রকল্পের সুযোগ বাড়বে।
ফিফার এই সিদ্ধান্ত বাফুফের জন্য এক নতুন সূচনা। নতুন নেতৃত্বের স্বচ্ছতা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ইতিবাচক পরিবর্তনই যে ফিফার আস্থা ফেরাতে মূল ভূমিকা রেখেছে, তা স্পষ্ট। এখন প্রশ্ন একটাই—এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কতটা এগিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের ফুটবল?