আবাহনীর চাওয়া বিদেশি ফরোয়ার্ড |

লিগ টেবিলের শীর্ষে মোহামেডান, তৃতীয় স্থানে বসুন্ধরা কিংস। প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে দুই ক্লাবের ক্লিনশিট সংখ্যা ৮। প্রথম পর্বে ৯ ম্যাচে আবাহনীরও ৮ ক্লিনশিট। এতেই পরিষ্কার স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে খেলা আবাহনীর রক্ষণ ছিল নিশ্ছিদ্র! লিগের ফিরতি লেগে বিদেশি চাচ্ছে ক্লাবটি, চাহিদার শীর্ষে ভালো মানের ফরোয়ার্ড।

৯ ম্যাচে ৬ জয়, ২ ড্র এবং একটি হার—২০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে ৬ বারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। শীর্ষে থাকা মোহামেডানের (২৪) চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে আকাশি-হলুদরা।

পয়েন্টে পিছিয়ে থাকলেও রক্ষণে আবাহনী ছিল ঈর্ষণীয়। ৯ ম্যাচে মাত্র ১ গোল হজম করেছে ধানমন্ডির ক্লাবটি। সেটা মোহামেডানের বিপক্ষে। লিগের প্রথম পর্বে ওই ম্যাচটাই হেরেছে আবাহনী। শীর্ষে থাকা মোহামেডান হজম করেছে ৪ গোল, বসুন্ধরা কিংস ৬ গোল।

লিগের দ্বিতীয় লেগে রক্ষণ নিয়ে খুব একটা ভাবছে না আবাহনী। টিম ম্যানেজমেন্ট দ্বিতীয় লেগে বিদেশি ফুটবলারের চাহিদাপত্র দিয়েছে। অগ্রাধিকার পাচ্ছে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়। সম্ভব হলে রক্ষণ আরও মজবুত করতে চায় দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটি। যদিও আবাহনীর সহকারী ম্যানেজার কাজী নজরুল ইসলাম বললেন, এখনো পজিশন নিয়ে চিন্তা করছি না। বোর্ড থেকে বিদেশি খেলোয়াড়ের বিষয় অনুমোদন হলেই এ নিয়ে কথা বলা যাবে।

দলের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করে বোর্ডের কাছে আমরা চাহিদাপত্র দিয়েছি। সে অনুযায়ী ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলেই বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না’—কে বলছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।

লিগে আবাহনীর রক্ষণ দারুণ আস্থার পরিচায় দিয়েছে। সেন্টারব্যাক ইয়াসিন খানের পুনর্জন্ম হয়েছে লিগের প্রথম পর্বে। আবাহনীর জার্সিতে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে আদৌ জাতীয় দলে হারানো জায়গা ফিরে পান কি না—এ সেন্টারব্যাককে নিয়ে সেই কৌতূহল কাজ করছে। এ ছাড়া আসাদুজ্জামান বাবলু, হাসান মুরাদ, কামরুল ইসলাম, সবুজ হোসেনরাও আস্থার পরিচয় দিয়েছেন। গোলবারের নিচে মিতুল মারমা ছিলেন দুর্ভেদ্য। জাতীয় দলের এক নম্বর গোলরক্ষক পজিশন মিতুল মারমার দখলে। সে পজিশনের যৌক্তিকতা প্রমাণে লিগের প্রথম লেগকে বেছে নিয়েছিলেন ২১ বছর বয়সী এ কাস্টডিয়ান। লিগের ৯ ম্যাচের মধ্যে ৮টি খেলেছেন মিতুল মারমা। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ম্যাচ। ৮ ম্যাচে মাত্র এক গোল হজম করেছেন মিতুল মারমা।

লিগের প্রথম পর্বে আবাহনীর ম্যাচপ্রতি গোল হজমের হার ছিল ০.১। মোহামেডানের ০.৪ এবং বসুন্ধরা কিংসের ০.৬। ম্যাচপ্রতি সবচেয়ে বেশি ৩.৪ গোল হজম করেছে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব। যদিও লিগ টেবিলের তলানিতে আছে চট্টগ্রাম আবাহনী।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top