পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দুঃসংবাদ

পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়েছে ভ্যাটিকান। দেশটি জানিয়েছে, রক্ত পরীক্ষায় তার কিডনির কার্যকারিতায় ‘হালকা সমস্যা’ ধরা পড়েছে, যা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া ডাবল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত তিনি।

সোমবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভ্যাটিকান জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক রয়ে গেছে। ৮৮ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস ডাবল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর রক্ত পরীক্ষায় তার কিডনির জটিলতা দেখা দিয়েছে। যদিও তা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

পোপ ফ্রান্সিস গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রোমের জেমেলি হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার প্রথমবারের মতো ভ্যাটিকান তার অবস্থাকে ‘আশঙ্কাজনক’ বলে উল্লেখ করে। রোববার ভ্যাটিকান জানায়, ‘পোপের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়ে গেছে, তবে গত রাত থেকে তার আর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়নি।’

ভ্যাটিকানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রক্ত পরীক্ষায় তার কিডনির কার্যকারিতায় ‘প্রাথমিক ও হালকা সমস্যা’ ধরা পড়েছে, যা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চিকিৎসাগত জটিলতা এবং ওষুধের প্রভাব দেখার জন্য প্রয়োজনীয় সময়ের কারণে তার অবস্থা সম্পর্কে পূর্বাভাস এখনো সতর্কতামূলক পর্যায়ে রয়েছে।

ভ্যাটিকান জানিয়েছে, পোপ সজ্ঞানে এবং সুস্থ মস্তিষ্কে রয়েছেন। তাকে নাকের নিচে একটি নলের মাধ্যমে হাই-ফ্লো অক্সিজেন থেরাপি দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গত শনিবার ভ্যাটিকান জানায়, পোপের রক্ত পরীক্ষায় প্লাটিলেটের সংখ্যা কম পাওয়া গেছে, যা রক্তাল্পতার (অ্যানিমিয়া) সাথে সম্পর্কিত। প্লাটিলেট রক্তের কোষের অংশ, যা রক্ত জমাট বাঁধতে এবং রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে। এই কারণে তাকে রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়েছিল।

পোপ ফ্রান্সিস যৌবনকালে প্লুরিসিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর ফলে তার একটি ফুসফুসের অংশ অপসারণ করা হয়েছিল। এই কারণে তিনি ফুসফুসের সংক্রমণের প্রতি বিশেষভাবে সংবেদনশীল।

ভ্যাটিকান গত সোমবার জানিয়েছে, পোপের জটিল ক্লিনিক্যাল অবস্থার কারণে চিকিৎসকরা তার ওষুধের ধরন দ্বিতীয়বারের মতো পরিবর্তন করেছেন।

ভ্যাটিকান স্পষ্ট জানিয়েছে, পোপের চিকিৎসার প্রয়োজন যতদিন থাকবে, ততদিন তিনি হাসপাতালে থাকবেন।

গত কয়েক বছর ধরে পোপ ফ্রান্সিস বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে রয়েছে নিয়মিত ফ্লু, সায়াটিকা স্নায়ুব্যথা এবং ২০২৩ সালে অস্ত্রোপচার করা পেটের হার্নিয়া।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top