৮০০ ফিলিস্তিনিকে বাজার সহায়তা পাঠাল হাফেজ্জী চ্যারিটেবল

ফিলিস্তিনের গাজার মাওয়াসি আল কারারায় ৮০টি তাঁবুতে ৮০০ জনের এক সপ্তাহের বাজারসামগ্রী বিতরণ করেছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ থেকে এ বাজারসামগ্রী গাজাবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

সংস্থাটির মহাপরিচালক নওমুসলিম মুহাম্মাদ রাজ বলেন, প্রতিটি তাঁবুতে আমরা চাল, তেল, মুরগি, মসলা ও কিছু স্থানীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, যা প্রতিটি পরিবার এক সপ্তাহ খেতে পারবে ইনশাআল্লাহ। যুদ্ধ চলাকালীন গত দুই মাস ধরে গাজা, খান ইউনুস, দেইর আল বালাহ, আল কারারায় নিয়মিতভাবে পানি, রান্না করা খাবার, মুরগি, শীতবস্ত্র দিয়ে আসছে সংস্থাটি।

তিনি বলেন, হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশের ছয় সদস্যের একটি টিম গত নভেম্বরে মিশরে অবস্থিত ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে যায় এবং মিশরের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত দিয়াব আল্লু ও মিশরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিস সামিনা নাজকে সঙ্গে নিয়ে মিশরের শরণার্থীদের মাঝে চিকিৎসা, পোশাক ও বাজার সহায়তা প্রদান করে এবং রাষ্ট্রদূতদের সহায়তায় আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। ফিলিস্তিনের সেবা সংস্থাগুলোর প্রধান মুহাম্মাদ কাতাদার নেতৃত্বের একদল ফিলিস্তিনি স্বেচ্ছাসেবী গাজা, খান ইউনুস, দেইর আল বালাহসহ বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে।

সংস্থার আরেকটি প্রতিনিধিদল ৭ মার্চ মিশর এবং ফিলিস্তিনে সরাসরি সহায়তা নিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। মিশরে ফিলিস্তিন অ্যাম্বাসি, বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি এবং আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রশংসাপত্র পেয়েছে সরকার নিবন্ধিত এ সংস্থাটি।

সংস্থার সহ-সভাপতি মাওলানা মুহসিন বিন মুঈন জানান, যুদ্ধ পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় লোকজন নিজের এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। বাস্তুহারা মানুষের জন্য এখন তাঁবু ও মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এ ছাড়া আমাদের অন্যান্য সেবাও চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, সংস্থাটি জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে শুরু থেকেই যাবতীয় ঝুঁকি ও হুমকি মোকাবিলা করে বাড্ডা, ঢাকা মেডিকেল, মুগদা মেডিকেল, এনাম মেডিকেল মোহাম্মাদপুর ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় আহতদের চিকিৎসা সেবা ও সহায়তা দিয়েছিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top