ট্রাম্পের হিসাবে ভুল আছে : এরদোয়ান

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মুসলিম বিশ্বের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতোমধ্যে সৌদিআরব, মিসর, জর্দানসহ আরব দেশগুলো এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। এবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানও যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের হিসাবে ভুল রয়েছে।

এর আগে ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে গাজা থেকে সরিয়ে ফেলার যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় আপত্তি জানিয়েছিল আঙ্কারা। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে তুরস্ক গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং চিরকাল ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজা উপত্যকায় আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের এবং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় চিরকাল থাকবে। ইসরায়েলের মিথ্যা কথায় প্রভাবিত হয়ে ট্রাম্প যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাতে সংঘাত আরও বাড়বে। তিনি আরও বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি গাজা থেকে আমরা একটি সুসংবাদ পেয়েছি, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ১৫ মাসের ইসরায়েলি গণহত্যার পর একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি।

এদিকে গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সৌদি আরব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা খালি করার পরিকল্পনার উপযুক্ত জবাব দিতে এ মাসেই রিয়াদে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে যাচ্ছে সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো আরব দেশগুলো। উপত্যকাটির পুনর্গঠনে এগিয়ে আসতে চাইছে তারা।

পাঁচটি গণমাধ্যম সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, বৈঠকে ফিলিস্তিন নিয়ে খসড়া নানা প্রস্তাব আলোচনা হতে পারে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতৃত্বে ফিলিস্তিন পুনর্গঠন তহবিল গঠন। এছাড়া হামাসকে পাশ কাটিয়ে একটি নতুন শাসন কাঠামো ঠিক করা।

মিসরের তৈরি করা খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, একটি জাতীয় ফিলিস্তিনি কমিটি গঠন করে গাজার শাসন করা হবে, যেখানে হামাসের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। ফিলিস্তিনিদের বিদেশে পুনর্বাসনের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে গাজায় পুনর্গঠন কাজ চালানো হবে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের দিকে এগোনো হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top