ট্রাম্প-মোদির আলোচনায় সবই এলো, শুধু মানবাধিকার ছাড়া

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অবস্থিত হোয়াইট হাউসে তাদের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকটি ঐতিহাসিক হতে পারত, কিন্তু তা হয়নি। বৈঠকে অস্ত্র বিক্রি ও বাণিজ্য থেকে শুরু করে অভিবাসন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বিশ্বের এই দুই শক্তিশালী নেতার মধ্যে মানবাধিকার ও সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক বছরে ভারতে মানবাধিকার এবং সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ অনেকটাই কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য বাড়ছে এবং ভারত এখন যুক্তরাষ্ট্রের চীনের বিরুদ্ধে প্রধান সহযোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এই প্রবণতা আরও গতি পাবে।

বৈঠক এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সংখ্যালঘু অধিকার বা মানবাধিকার নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান মন্তব্য করেন, ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি মূলত স্বার্থভিত্তিক, তাই মানবাধিকার এবং সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেন না।

ভারত সরকার মানবাধিকার এবং সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিশেষ করে, ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন মোদি সরকারের সমালোচনা করেছে। তবে মোদি সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে যে, তাদের নীতিগুলো সবার জন্য উপকারী।

বৈঠকে ট্রাম্প এবং মোদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন, তবে মানবাধিকার এবং সংখ্যালঘু অধিকার বিষয়টি তাদের আলোচনায় জায়গা পায়নি, যা সচেতনভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top