শবে বরাতে আতশবাজি-পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ

পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে আগামীকাল শুক্রবার। এদিন রাতে বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এনডিসি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র শবে বরাতের পবিত্রতা রক্ষার্থে এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শবে বরাত উদযাপন নিশ্চিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স এর ২৮ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকাবাজি, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সিহাহ সিত্তাহ বা বিশুদ্ধ ৬টি হাদিসগ্রন্থের কোনো কোনো হাদিসে শবে বরাতের বিশেষত্ব নির্দেশক বর্ণিত হয়েছে। এ ছাড়াও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও এই রাতের বিশেষত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়। হাদিসগুলোর সনদ বিভিন্ন মানের এবং এ বিষয়ে মতভেদ বিদ্যমান। হাদিস শাস্ত্রে শবে বরাত বলতে যে পরিভাষাটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা হলো নিসফ শাবান বা লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান তথা শাবান মাসের মধ্য রজনী।

একটি হাদীসে বলা হয়েছে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্মপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তার সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন। (ইবনু মাজাহ, আস- সুনান ১/৪৪৫)

বিভিন্ন সহিহ হাদিসে বর্ণিত আছে, মুহাম্মাদ (সা.) এই মাসে বেশি বেশি নফল রোজা পালন করতেন। শাবান মাসের রোজা ছিল তার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এ মাসের প্রথম থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এবং কখনো কখনো প্রায় পুরো শাবান মাসই তিনি নফল সিয়াম পালন করতেন। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ মাসে রাব্বুল আলামিনের কাছে মানুষের কর্ম উঠানো হয়। আর আমি ভালোবাসি যে, আমার রোজা রাখা অবস্থায় আমার আমল উঠানো হোক। (নাসাঈ, আস-সুনান ৪/২০১; আলবানি, সহিহুত তারগিব ১/২৪৭)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top