ইউক্রেনকে নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য, পুতিনের প্রতিক্রিয়া

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মনে করেন, ইউক্রেন ভবিষ্যতে রাশিয়ার অংশ হয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে তিনি ইউক্রেনকে সহায়তার বিনিময়ে মুনাফা অর্জনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন এক সময় এসেছে, যখন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ ও ট্রাম্পের বক্তব্য

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান তিন বছরের যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তারা (ইউক্রেন) একটি চুক্তি করতে পারে, নাও করতে পারে। তারা একদিন রাশিয়ার হয়ে যেতে পারে কিংবা রাশিয়ার না-ও হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা দিচ্ছে, কিন্তু এর বিনিময়ে আমাদের কিছু পাওয়া উচিত। বিশেষ করে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ, যেমন বিরল খনিজের বাণিজ্য নিয়ে ভাবা দরকার।

ট্রাম্প তার বিশেষ দূত কেইথ কেলগকে কিয়েভে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন। যুদ্ধ বন্ধের জন্য তাকে একটি রূপরেখা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ক্রেমলিনের প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্পের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর ক্রেমলিন থেকে প্রতিক্রিয়া আসে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেনের উল্লেখযোগ্য অংশ রাশিয়ার অংশ হতে চায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা বলেছেন, বাস্তবতা অনেকটাই তা-ই।

পেসকভ আরও বলেন, ২০২২ সালে রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল ইতিমধ্যে রাশিয়ায় একীভূত হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

ট্রাম্প-পুতিন গোপন যোগাযোগের গুঞ্জন

নিউইয়র্ক পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও পুতিন যুদ্ধবিরতি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ফোনে কথা বলেছেন। যদিও ক্রেমলিন এই ফোনালাপের বিষয়টি স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি।

পুতিনের প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যতের চুক্তির সম্ভাবনা

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি যুদ্ধবিরতি ও সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে চুক্তির ভবিষ্যৎ।

বিশ্ব রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই নতুন অবস্থান যুদ্ধের ভবিষ্যৎ চিত্র বদলে দিতে পারে। একই সঙ্গে এটি ইউক্রেনের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top