গাজার যোদ্ধারা শর্ত না মানলে আবারও যুদ্ধ শুরুর হুমকি

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত না মানলে আবারও গাজায় হামলা শুরুর হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইতোমধ্যে তিনি তার সেনাবাহিনীকে গাজার ভেতরে ও চারপাশে যুদ্ধাবস্থান নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছেন; যাতে সবুজ সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও গাজায় হামলা শুরু করা সম্ভব হয়। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘হামাসকে যুদ্ধবিরতির শর্ত অবশ্যই মানতে হবে। যদি হামাস শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের মধ্যে আমাদের জিম্মিদের ফেরত না দেয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি বাতিল করা হবে এবং হামাস চূড়ান্তভাবে পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তীব্র লড়াইয়ে ফিরে আসবে।’ মঙ্গলবার চার ঘণ্টার নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক ভিডিও বিবৃতিতে নেতানিয়াহু এসব বলেন।

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতির আহ্বানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, শনিবার দুপুরের মধ্যে আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের দাবি এবং গাজার ভবিষ্যতের জন্য তার বিপ্লবী দৃষ্টিভঙ্গিকে আমরা স্বাগত জানাই।

এর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় আটক সব জিম্মিকে মুক্তির আলটিমেটাম দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিও ওই সময়ের মধ্যে তাদের মুক্তি না দিলে আবারও যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি বলব- যুদ্ধবিরতি বাতিল করুন। তাহলে সব বাজি শেষ হয়ে যাবে এবং সেখানে নরক শুরু হোক।

ট্রাম্প সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি শনিবারের মধ্যে গাজা উপত্যকায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাতিলের প্রস্তাব করে বলেন, আমি যতদূর জানি, যদি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত জিম্মিকে ফেরত না দেওয়া হয় আমার মনে হয় এটিই উপযুক্ত সময়- আমি বলব, এটি বাতিল করুন, সমস্ত বাজি বন্ধ হয়ে যাক এবং নরক শুরু হোক। আমি বলব, শনিবার ১২টার মধ্যে তাদের ফেরত দেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, শনিবার দুপুর ১২টার পরে একটি ভিন্ন খেলা হতে চলেছে। শনিবারের সময়সীমার পরে গাজায় মার্কিন হস্তক্ষেপ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দেখব কী হয়।

এ ছাড়া গাজায় চলমান সংঘাতের মধ্যে হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কারহি। তিনি বলেন, হামাসের জন্য নরকের সব দরজা খুলে দেওয়ার সময় এসেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top