বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে মার্কিন সহায়তা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে সহায়তা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে চলমান সহায়তা কার্যক্রম আবার শুরু হতে কোনো বাধা নেই। খবর রয়টার্সের।

সংস্থাটি রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক্সবার্তায় জানায়, ডব্লিউএফপিকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, মার্কিন কৃষকদের কাছ থেকে টাইটেল-২ তহবিল দিয়ে কেনা খাদ্যদ্রব্যগুলো বিতরণে বাধা নেই। সংস্থাটি বিদ্যমান ইউএসএআইডি চুক্তির অধীনে খাদ্য ক্রয় এবং সরবরাহ পুনরায় শুরু করার অনুমতি পেয়েছে।

এদিকে একটি সাহায্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছিল, ৫,০০,০০০ মে টন খাদ্য সমুদ্রে অথবা জাহাজীকরণের জন্য প্রস্তুত অবস্থায় পড়ে আছে। এসব ছাড় করা না হলে বিশ্বের অনেক অঞ্চলের দুর্গতরা চরম বিপর্যয়ে পড়বে। এখন পুনরায় মার্কিন সহায়তা পাওয়ার অনুমতি মেলায় সমুদ্রপথে আটকে থাকা খাদ্যের চালান উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাবে।

শপথ গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য সমস্ত বিদেশি সাহায্য স্থগিত রাখার নির্বাহী আদেশ জারি করেন। ওই আদেশে জরুরি খাদ্য সহায়তা মওকুফের শর্ত সত্ত্বেও ওয়াশিংটন মার্কিন কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য অনুদানের জন্য কেনা বন্ধ করে দেয়।

মূলত, বিদ্যমান অনুদান পর্যালোচনা করে দেখা এবং এটি ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বৈদেশিক নীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কি না তা যাচাইয়ের উদ্দেশ্য ছিল।

তখন যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএফপিকে মার্কিন অর্থায়নে প্রদত্ত কয়েক ডজন অনুদানের কাজ বন্ধ করতে বলে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বলা হয়, মার্কিন সহায়তা না পেলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটে থাকা জনগোষ্ঠী ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়বে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউএসএআইডির দুই হাজার ২০০ কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তও স্থগিত করেছেন আদালত। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুটি ইউনিয়ন এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করলে বিচারক কার্ল নিকোলস ‘খুবই সীমিত’ সময়ের জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সব বিদেশি সহায়তা সাময়িকভাবে স্থগিত করেন। ইউএসএআইডির প্রকল্পগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় সংস্থাটির কম্পিউটার সিস্টেমও বন্ধ করা হয় এবং কর্মীদের ছাঁটাই বা ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top