পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে পৃথক গোলাগুলির ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছে। খবর জিওটিভির।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় দুটি পৃথক গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযানের (আইবিও) সময় কমপক্ষে সাতজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। ৮-৯ ফেব্রুয়ারি রাতে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ডেরা ইসমাইল খান জেলার মাদ্দি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের অবস্থানে অভিযান চালায়। এ সময় তারা গুলি ছুড়ে। সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি ছুড়লে তিন সন্ত্রাসী নিহত এবং আরও দুজন আহত হয়।
এদিকে উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় আরেকটি অভিযান পরিচালিত হয়। সেখানেও গুলি বিনিময়ের পর নিরাপত্তা বাহিনী চারজন সন্ত্রাসীর লাশ পায়। এ ঘটনায় তিনজন সন্ত্রাসী আহত হয়েছে।
সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা আরও জানিয়েছে, বাকি সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার জন্য বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আমাদের সাহসী সৈন্যদের আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে পাকিস্তানে সহিংস হামলার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে তালেবান সমর্থিত গোষ্ঠীরা বেশ সক্রিয়। তারা প্রায় নিরাপত্তা বাহিনী ও বিরোধীদের ওপর হামলা করে আসছে। ফলে সেসব অঞ্চলে সামরিক অভিযান জোরদার করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এমনকি আফগানিস্তানেও পাকিস্তান তালেবান ঘাঁটিতে বিমান হামলা করে ইসলামাবাদ। গত দুদিনের অভিযান সেই টেকসই সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার অংশ।