ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনামলে বঞ্চিত ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসনে উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত এ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ১১৯ জন।
তবে সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া এ ১১৯ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৫০ জনই একই ব্যাচের। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, বঞ্চিত কর্মকর্তাদের মধ্যে ভূতাপেক্ষভাবে সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া ৫০ জনই ১৯৮২ ব্যাচের কীভাবে হলেন?
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে করা এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, বঞ্চিতদের তালিকায় ভূতাপেক্ষ সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের তালিকায় আমার নাম নেই। ১১৯ জন সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫১ জন ছিলেন অতিরিক্ত সচিব। জনপ্রশাসন সচিব এবং কেবিনেট সচিব স্যারসহ বর্তমান সরকারে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় সবাই ১৯৮২ ব্যাচের।
তিনি আরও লেখেন, ‘আমিও অতিরিক্ত সচিব ছিলাম এবং বিগত সরকার দুর্নীতি দূর করতে চেয়ে অন্যায়ভাবে ৪টি শাস্তি দিয়েছিল। প্রায় দেড় বছর ওএসডি অবস্থায় রেখে চাকরি থেকে বিদায় দিয়েছিল। পদোন্নতিপ্রাপ্ত সব অতিরিক্ত সচিব যদি আমার চেয়ে বেশি বঞ্চিত হয়ে থাকেন, তাহলে আমার কোনো চাওয়া বা দাবি নেই। কিন্তু আমার চেয়ে কম হলে অবশ্যই আমি প্রতিবাদ ও দাবি করব।’
তিনি লেখেন, ‘স্যার বর্তমান সরকারের কাছে প্রশ্ন
# ১১৯ জন সচিবের মধ্যে ৫১ জন অতিরিক্ত সচিব যারা পদোন্নতি পেলেন, তারা কীভাবে কোন ক্রাইটেরিয়ায় বঞ্চিত ছিলেন? কীভাবে নিপিড়ীত নির্যাতিত ছিলেন?
# ১১৯ জন সচিব পদোন্নতির মধ্যে ৪৫ জন কীভাবে ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা হলেন?
সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি এই ৫১ জন অতিরিক্ত সচিব, যারা সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন, তাদের বঞ্চিত হবার কাহিনি। তা না হলে সব অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবকে ভূতাপেক্ষ সচিব পদোন্নতি দিতে হবে। আমি মামলা করব হাইকোর্টে, সেখানে অবশ্যই জানতে চাইব ৫১ জন অতিরিক্ত সচিবের বঞ্চনার কাহিনি এবং ১৯৮২ ব্যাচের কীভাবে ৪৫ জন কর্মকর্তা বঞ্চনার স্বীকার হলেন।