শিক্ষার্থীদের নিয়ে সিসিএসের ভোক্তা অধিকার প্রশিক্ষণ

রাজধানী ও পাশের ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়ে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি‘ (সিসিএস) ও এর যুব শাখা ‘কনজ্যুমার ইয়্যুথ বাংলাদেশে’র (সিওয়াইবি) উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় আর্কাইভস মিলনায়তনে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিসিএসের নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মাহমুদ। প্রশিক্ষক ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জান্নাতুল ফেরদৌস। এ ছাড়া গ্রুপ প্রেজেন্টেশন, কুইজ প্রতিযোগিতা, সিওয়াইবির বিভিন্ন শাখার কার্যক্রম উপস্থাপনাসহ শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

উপসচিব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, দেশে ভোক্তা অধিকার বাস্তবায়ন করতে হলে তরুণ ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। তরুণদের এগিয়ে এসে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ করতে হবে এবং ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় অধিদপ্তরের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। আমি এখন ভোক্তা অধিদপ্তরের মানুষ না হলেও আমি ভোক্তা। সে কারণে একজন সচেতন ভোক্তা হিসেবে কর্মী হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। দেশের সব তরুণকে ভোক্তা সংগঠনে যুক্ত করতে পারলে ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হবে।

সিসিএসের সভাপতি পলাশ মাহমুদ বলেন, যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় এবং ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন করে, তারা আমাদের সমাজেরই মানুষ। তারা কারও ভাই কারেও বাবা বা কারও আত্মীয়-প্রতিবেশী। সে কারণে তরুণদের দায়িত্ব নিতে হবে। প্রথমে নিজের পরিবার, এরপর আত্মীয়, এরপর নিকটজন౼তাদের বোঝাতে হবে, সচেতন করতে হবে। তাতেও যদি তারা সংশোধন না হযন, তাহলে আপনজন হলেও আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিসিএসের সহসভাপতি জুলফিকার আলী মল্লিক, সিওয়াইবির সাধারণ সম্পাদক ইমরান শুভ্র, সিওয়াইবির সহসভাপতি দেলোয়ার হোসাইন, সিসিএস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি রিয়াজ ফরায়েজি প্রমুখ।

প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলোজি, ঢাকা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, সরকারি মাদারাসা-ই-আলিয়া।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top