কবে ও কোথায় পুতিনের মুখোমুখী হচ্ছেন ট্রাম্প?

ডেনাল্ড ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন তার বৈদেশিক নীতি নিয়ে। তার চিন্তা অন্য দশজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের থেকে ভিন্ন হয়। বিশেষ করে ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে রাশিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতি থাকে অনেকটা নমনীয়। আর এজন্যই হয়ত ট্রাম্পকে পছন্দ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শোনা যায়, ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হোন ভ্লাদিমির পুতিনও তেমনটাই চেয়েছিলেন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় ট্রাম্পকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি হয়ত আশা করছেন, এবার ওয়াশিংটন-মস্কোর সম্পর্কের বরফ কিছুটা হলেও গলবে।

এদিকে যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেজন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে ট্রাম্পের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকে তোড়জোড় শুরু করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখী বসতে চান ট্রাম্প। বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যকার শীর্ষ বৈঠকটি হতে পারে সৌদি আরব কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এই আলোচনা সম্পর্কে অবগত রাশিয়ার দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাব্য স্থান নিয়ে আলোচনা চললেও এর আনুষ্ঠানিকতা কবে নাগাদ শুরু হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এ বছরের শেষ নাগাদ ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকটি হতে পারে।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ বৈঠক ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে নতুন মোড় নিতে পারে। রাশিয়ার কর্মকর্তারা বারবার দাবি করেছেন, ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে ফোনালাপের প্রস্তুতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের কোনো প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নেই। এ ফোনালাপের পরই এ বছরের শেষের দিকে একটি শীর্ষ বৈঠক হতে পারে।

এর আগে পুতিন ইউক্রেন ইস্যু ও জ্বালানি নিয়ে আলোচনা করতে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। তার পরেই রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top