ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি, ১০ পাকিস্তানিকে দেশে ফেরত

সৌদি আরবে গিয়ে পাকিস্তানের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে। এজন্য দেশটির নাগরিকদের ওমরাহ এবং হজে যাওয়ার আগে ভিক্ষা না করার জন্য হলফনামায় স্বাক্ষরের প্রতিশ্রুতির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এরপরও সৌদিতে ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করার অপরাধে অন্তত ১০ পাকিস্তানিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, ওই ব্যক্তিরা কয়েক মাস ধরেই সৌদি আরবে ভিক্ষাবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এখন ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছেন কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে ফেরত পাঠানো ওই ১০ জন পাকিস্তানি নাগরিক। তারা বিদেশে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ায় এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে পাকিস্তান সরকার উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে গেল বছরে একাধিকবার ইসলামাবাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছে সৌদি আরব।

এরপর পাকিস্তানও হজ বা ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়। তারপরও ভিক্ষাবৃত্তি ঠেকানো যায়নি। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করাচি বিমানবন্দরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সৌদি ফেরত ওই ১০ ভিক্ষুককে আটক করা হয়।

সৌদি আরবে প্রবাসীদের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম কমিউনিটি হচ্ছে পাকিস্তানিরা। দেশটি প্রায় ২৫ লাখ পাকিস্তানি বসবাস করেন। পাকিস্তানের বৈদেশিক রেমিট্যান্সের সবচেয়ে বড় উৎসও হচ্ছেন অভিবাসীরা।

এর আগে গত বছরের নভেম্বর পাকিস্তানের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্প্রতি একটি নতুন নিয়ম জারি করেছে, যার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে যে, ওমরাহ বা হজ পালন করতে গিয়ে পাকিস্তানি নাগরিকরা ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়বে না।

সৌদি আরব পাকিস্তান সরকারকে জানিয়েছে, তারা আর কোনো পাকিস্তানি নাগরিককে হজ বা ওমরাহ ভিসা প্রদান করবে না, যদি সে ভিক্ষা করার উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে আসার পরিকল্পনা করে। এদিকে কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে পাকিস্তান সরকার প্রতিরোধ করতে চায় যে, ধর্মীয় উদ্দেশ্যে পবিত্র মক্কা-মদিনা সফরের সময় কেউ ভিক্ষাবৃত্তির মতো সামাজিক অঙ্গীকারহীন কাজে জড়িয়ে না পড়ে।

পাকিস্তানের ধর্ম মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তারা ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৩০০ ভিক্ষুককে ‘এক্সিট কন্ট্রোল’ লিস্টে পাঠিয়েছে এবং এই বিষয়ে তারা একটি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। এর মানে, যারা ভিক্ষাবৃত্তির উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যেতে চায়, তাদের যেতে দেওয়া হবে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top