তিন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের পরিণতি কী, জানালেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন। এর ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা শিগগিরই ‘স্বল্প মেয়াদে’ যন্ত্রণা ভোগ করতে পারেন বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

শুল্ক আরোপের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দা ও মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ পদক্ষেপের ফলে মার্কিন বাজারে পণ্যের দামও বেড়ে যেতে পারে।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির স্বার্থে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি স্বীকার করেছেন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে মার্কিন জনগণ কিছুটা কষ্ট পেতে পারেন। তবে দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের লাভ হবে।

এ ছাড়া, শুল্ক আরোপের পর, কানাডা, মেক্সিকো ও চীনও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই সংকটের সমাধানে তিনি শিগগিরই সংশ্লিষ্ট দেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হবে এবং চীনের পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক থাকবে।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, এসব শুল্ক অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার রোধে দরকারি। তবে কানাডা ও মেক্সিকো পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ১৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। মেক্সিকোও জানিয়েছে, শুল্ক আরোপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে না, আলোচনার মাধ্যমে তা করা উচিত।

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় মামলা করার পরিকল্পনা করেছে। অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, শুল্ক আরোপের ফলে পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাবে।

বিশ্ব বাজারে শুল্কের এ পদক্ষেপের প্রভাব এরইমধ্যে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। তবে মার্কিন প্রশাসন মনে করে, দীর্ঘ মেয়াদে এটি যুক্তরাষ্ট্রকে লাভবান করবে। তথ্য: রয়টার্স, বিবিসি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top