নারী ফুটবলে বিদ্রোহের মাঝেই কোচ বাটলারের অনুশীলন

বাংলাদেশ নারী ফুটবলে অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে। জাতীয় দলের অধিকাংশ সিনিয়র খেলোয়াড় কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। দাবি একটাই—বাটলারকে অপসারণ করতে হবে, নইলে তারা আর খেলবেন না। তবে এই সংকটের মাঝেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মাত্র ১৩ জন খেলোয়াড় নিয়ে অনুশীলনে নেমেছেন ব্রিটিশ কোচ।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নারী দলের ক্যাম্পে ৩১ জন খেলোয়াড়কে ডেকেছিল। তবে আনাই মগিনি এখনও যোগ দেননি। বাকি ৩০ জনের মধ্যে মাত্র ১৩ জন আজকের অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন—রিপা, আফিদা, আইরিন, কোহাতি কিসকু, প্রান্তি, স্বপ্না, ইয়ারজান, অর্পিতা, হালিমা, আকলিমা, মুনকি, সুরমা ও প্রীতি।

অন্যদিকে, জাতীয় দলের ১৮ জন খেলোয়াড় অনুশীলন বয়কট করেছেন, যার মধ্যে রয়েছেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও তারকা ফুটবলাররা—সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, মারিয়া মান্দা, সানজিদা আক্তার, মাসুরা পারভীন, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা ও গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা। শুধু সিনিয়ররাই নন, উঠতি তারকা নীলাসহ আরও কয়েকজনও কোচের বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহে যোগ দিয়েছেন।

নারী ফুটবলারদের সঙ্গে কোচ বাটলারের দূরত্ব তৈরি হয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সময় থেকেই। শিরোপা জিতলেও দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা কোচের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। তাদের দাবি, বাটলারের কৌশল, আচরণ এবং পরিচালন পদ্ধতি দলকে আরও ঐক্যবদ্ধ করার বদলে বিভক্ত করছে।

সাম্প্রতিক বিদ্রোহের পর বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, যদি বাটলার কোচ হিসেবে থাকেন, তাহলে তারা জাতীয় দলে আর খেলবেন না। তবুও বাফুফে দুই বছরের জন্য তাকে চুক্তিবদ্ধ করে, যা খেলোয়াড়দের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এই সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। আজ বিকেলে সেই কমিটির সভা হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর এটি জাতীয় দলের প্রথম অনুশীলন হলেও, মাঠের সংকটের পাশাপাশি দলীয় সংকটই এখন সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারী ফুটবলের এই অস্থিরতা কত দ্রুত সমাধান হবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top