ক্ষমতায় এসেই দুই দেশের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ালেন ট্রাম্প

দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বিশ্বজুড়ে একের পর এক আতঙ্ক ছড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে ঢুকেই নতুন যুদ্ধের দামামা বাজানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। এবার তা বাস্তবেই শুরু করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়েছেন তিনি।

শুক্রবার ( ৩১ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। শনিবার (০১ জানুয়ারি) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। তবে তেল আমদানির ওপর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

কানাডা ও মেক্সিকো থেকে তেল আমদানিতে শুল্ক আরোপের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এটির ওপর শুল্ক আরোপ করব কিনা তা নিয়ে আজ রাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। দাম ও দুই দেশের আচরণের ওপর বিষয়টি কিছুটা নির্ভরশীল বলেও জানান তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে আমদানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের জন্য শনিবার ডেডলাইন নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশ দুটি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। তবে তাদের সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল অবৈধ অভিবাসী ও ফেন্টানাইলের চালান প্রবেশ করে। এসব ঠেকাতে দেশটি এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, বেশ কয়েকটি কারণে উত্তর আমেরিকার পণ্যগুলোতে শুল্ক আরোপ করা হবে। এছাড়া এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়ানো হতে পারে।

এর আগে ২৬ নভেম্বর বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই চীন, মেক্সিকো এবং কানাডার ওপর নতুন করে করারোপ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার ও অবৈধ অভিবাসন রোধে দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতেই এমন বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করতে চান তিনি।

নবনির্বাচিত এ প্রেসিডেন্ট জানান, ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই তিনি একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। সেখানে মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ করারোপ করা হবে।

ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, নির্বাহী আদেশে জারি করা ২৫ শতাংশ করের ওপর বাড়তি আরও ১০ শতাংশ করারোপ করবেন অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ওপর। যার ফলে চীন থেকে মার্কিন বাজারে আসা পণ্যের ওপর শুল্ক দাঁড়াবে ৩৫ শতাংশ। বেইজিং মার্কিন বাজারে সিন্থেটিক ওপিওড ফেন্টানাইলের চোরাচালান বন্ধ করার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।

ট্রাম্প জানান, মেক্সিকো ও কানাডার ওপর এসব কর ততদিন পর্যন্ত থাকবে যতদিন এসব দেশ মার্কিন ভূখণ্ডে মাদক ও অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করবে। এসব সমস্যার সমাধান না করলে বড় মূল্য পরিশোধ করার এটিই উপযুক্ত সময় বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top