রাষ্ট্রদূত হিসেবে ম‍্যাক্সিকোতে মুশফিকুল আনসারীর পরিচয়পত্র পেশ

ম‍্যাক্সিকোতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল প্রধান জনাথন সাইটের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে পরিচয়পত্রের একটি কপি তার হাতে তুলে দিয়েছেন।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, জনাথন সাইট শিগগিরই ম‍্যাক্সিকোর প্রেসিডেন্টের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরিচয়পত্র পেশ করবেন।

সাক্ষাৎকালে, রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল মেক্সিকান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর জোর দেন।

মুশফিকুল ফজল আনসারী কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও উন্নত করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

এ সময় রাষ্ট্রদূত নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রবর্তিত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার উদ্যোগগুলোও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, এই উদ্যোগগুলোর লক্ষ্য সুশাসন, গণতন্ত্র, রাজনৈতিক সংস্কার, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে উৎসাহিত করা।

প্রটোকল প্রধান রাষ্ট্রদূত মুশফিকুলের উল্লেখযোগ্য অবদান, বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য তার অটল সমর্থনের জন্য প্রশংসা করেন। উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার এবং দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিকের মহাপরিচালক ফার্নান্দো জি সাইফও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে গত ২৭ জানুয়ারি মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মস্থলে যোগ দেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মস্থলে যোগদান করে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। এ ছাড়া ওই পোস্টে তিনি লেখেন- ‘নতুন কর্মস্থলের প্রথম দিন’।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তার নিয়োগের তথ্যটি জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মুশফিকুল ফজল আনসারীকে অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন এর সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ০৩ (তিন) বছর মেয়াদে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপূর্বক বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে রাষ্ট্রদূত পদে পদায়নের নিমিত্ত তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হলো। এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও এতে জানানো হয়।

পরে নিয়োগ পাওয়া রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসী সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী তার অনুভূতি ব্যক্ত করে জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের টিমে কাজ করতে পারা গ্রেট প্রিভিলেজ এবং গ্রেট অনার। এটি তার জন্য অত্যন্ত মর্যাদাকর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top