ফের পারমাণবিক হামলার হুমকি রাশিয়ার

রাশিয়ার পক্ষ থেকে ফের পারমাণবিক হামলার হুমকি এলো। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে কড়া ভাষায় সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

রাশিয়ার পার্লামেন্ট বা স্টেট ডুমার স্পিকার ভিয়াচেস্লাভ ভোলোদিন বুধবার শত্রুদের সতর্ক করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর হামলার যে কোনো প্রচেষ্টা; এমনকি এ নিয়ে আলোচনাও সরাসরি পারমাণবিক যুদ্ধের পথ তৈরি করতে পারে। এ আশঙ্কা একটি গুরুতর বৈশ্বিক নিরাপত্তা হুমকি।

মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসনের দাবি উদ্ধৃত করে ভোলোদিন বলেন, বাইডেন প্রশাসন পুতিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। এ নিয়ে সাংবাদিক বক্তব্য দেওয়ার পরও ওয়াশিংটন তার অবস্থান স্পষ্ট করতে ব্যর্থ এবং নীরব।

এতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে ভোলোদিন বলেন, একদিন কেটে গেছে। সবাই চুপ করে আছে। বাইডেন বা ব্লিঙ্কেন কেউই যা বলা হয়েছিল তা অস্বীকার করেননি।

তিনি টেলিগ্রামে লিখেছেন, কথিত ষড়যন্ত্রটি অপরাধ এবং বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক বিপদ। বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয় জানিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানান।

এ নেতা বলেন, এ অভিযোগের বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের তদন্ত করা উচিত। আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে, আমরা চ্যালেঞ্জ এবং বিপদের মুখোমুখি হচ্ছি। এর অর্থ হলো- আমাদের অবশ্যই আমাদের দায়িত্ব অনুভব করতে হবে।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে পারমাণবিক হামলার হুমকি নতুন নয়। এর আগেও দেশটির বিভিন্ন কর্মকর্তা ভয়ংকর যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন। গত বছরের শেষ দিকে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে রাখেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ-সংক্রান্ত একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে ডিক্রিতে বলা হয়েছে, পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশের সমর্থন নিয়ে রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হলে পাল্টা জবাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে মস্কো। যেসব দেশের পরমাণু অস্ত্র নেই, তাদের যদি তৃতীয় কোনো দেশ বা পক্ষ এ ধরনের বিধ্বংসী অস্ত্র প্রদান করে— সেক্ষেত্রে সেসব দেশের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে রাশিয়া।

তখন পুতিনের মুখপাত্র এবং রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, রাশিয়া সবসময় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার বিপক্ষে; আমরা শুধু আমাদের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top